আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক বিশ্বাসের সাথে বড় করা, বর্তমান সময়ের জন্য খুবই জরুরী। এর গুরুত্বকে ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এটি শুধু পিতা মাতার জন্যই জরুরী নয়, বরং উম্মাহর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন, “প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের (তাওহীদের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা মাতা তাকে ইহুদি, খ্রিষ্টান বা অগ্নিপূজারি বানিয়ে ফেলে।” – [সহীহুল বুখারী, ১৩৫৮]
আল্লাহ তা’আলা এই ফিতরাত সম্পর্কে বলেন, “আল্লাহর ফিতরাত, যার ওপর তিনি মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টি রহস্যে কোন পরিবর্তন নেই। এটি প্রতিষ্ঠিত সরল দ্বীন।” – [সূরা রুম, ৩০]
আমাদের রাসূল ﷺ কে আল্লাহ তা’আলা সমগ্র মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক ও শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমরা তার জীবনীতে পাই, তিনি তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসকে শৈশব থেকেই তাওহীদের শিক্ষা দিয়েছেন। যিনি পরবর্তী সময়ে মুসলিম উম্মাহর সর্বশ্রেষ্ঠ একজন আলিম হয়েছিলেন। আসলে সমস্ত হিদায়াত আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে।
এই বইটি এমনভাবে লেখা হয়েছে, যা ছোটদেরকে ইসলামের মৌলিক বিষয়ের শিক্ষা প্রদান করবে। বাচ্চাদেরকে জীবনের শুরুর দিক থেকেই সঠিক আকীদার উপর প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ।
আমরা এমন একটি যুগে বাস করছি যেখানে চতুর্দিকে ফিতনা বিরাজমান। আর ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তুঙ্গে। এখন তো এমন সব মন্দ বিষয় ছোটদের শেখানো হচ্ছে, যা কল্পনাতীত। যেমন : ধর্মের আধুনিকতা, বিদআতের কারণে মৌলিক বিষয়ের উপর সন্দেহ, আকীদা বা বিশ্বাসের কাটছাঁট, শিরক ও কুফরের ছড়াছড়ি, সমকামীতাকে মানবিক অধিকার আখ্যা দেওয়া ইত্যাদি। তাই আমাদের গুরু দায়িত্ব হলো, ছোটদের কে এসব মন্দ বিষয় থেকে রক্ষা করা। বাল্যকাল থেকেই তাওহীদ, আল-ওয়ালা ওয়াল বারাআ এবং ইসলামের সঠিক ভিত্তিগুলোকে তাদের অন্তরে স্থাপন করে দেওয়া।
বইটি ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের বোঝার জন্য খুব সহজ ও সাবলীল ভাবে রচনা করা হয়েছে। আকর্ষণীয় ডিজাইন ও গ্রাফিক্স ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে ছোট ছোট সোনামনিরা পড়ার আগ্রহ বোধ করে।
রাসূল ﷺ বলেছেন, “মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে, তখন তার তিন প্রকার আমল ছাড়া সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় : ১. সাদাকায়ে জারিয়াহ, ২. এমন ইলম্ যার দ্বারা উপকার হয়, ৩. নেককার সন্তান, যে তার জন্য দুয়া করতে থাকে।” – [সহীহুল মুসলিম, ১৬৩১]
Reviews
There are no reviews yet.