Sale!

আলোকিত মানুষ সিরিজ (১-৬ খন্ড)

Original price was: ৳850.Current price is: ৳840.

লেখক : সানা শালান

অনুবাদক- ওয়াহিদ আমিম

প্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স

বয়স যখন ৪-৮

পৃষ্ঠা সংখ্যা- ২০৪

ভাষা- বাংলা

কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2024

 

একটু পড়ে দেখতে এখানে ক্লিক করুন

 

 

“ইবনে তাইমিয়া -১ম
উর্বর ভূমিতে সব সময় ভালো গাছই জন্ম নেয়। উত্তম বৃক্ষের জন্ম হয়। ইবনে তাইমিয়া (রহ.) ছিলেন একটি উত্তর বৃক্ষ। তাঁর জন্ম হয়েছিল উর্বর ও পবিত্র জমিনে। কারণ, তিনি জন্মগ্রহন করেছিলেন এমন এক পরিবারে, ইলম ও ফিকহচর্চায় যাদের খ্যাতি ছিল দিগন্তজোড়া । তার বাবা,দাদা, ভাই, চাচা প্রমুখ সবাই হাম্বলি মাজহাবের প্রসিদ্ধ আলিম ছিলেন। এমনকি তার মা ও নানি ছিলেন আলেমা। ইবনে তাইমিয়ার পরিবার মুনষকে ভালো কাজে আদের করার জন্য ছিলে বিখ্যাত । তারা মানুষকে সৎকাজ করতে বলত । মন্দ কাজে নিষেধ করত। এই ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধে কারণেই মূলত তার পরিবারকে বলা হতো তাইমিয়া । এখান থেকে তিনি ও তাইমিয়া নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।

খলিফা হারুনুর রশিদ -২য়
এক বরকতময় রাতে আব্বাসি আমলের স্বর্ণযুগের সূচনা হয়। এ রাতে জন্মগ্রহণ করে এক ছোট্ট শিশু। তার নাম রাখা হয় হারুন। বাবার নাম ছিল মুহাম্মাদ । দাদার নাম আবদুল্লাহ । তিনি ছিলেন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বংশধর হওয়ার কারণে তাদের বলা হতো আব্বাসি। পরবর্তী সময়ে এই ছোট্ট শিশু হারুন ইসলামি সালতানাতের খলিফা হয়েছিলেন। আর তাকে উপাধি দেওয়া হয়েছিলে হারুনুর রশিদ।

খালিল ইবনে আহমদ- ৩য়
এক ছিলেন বুদ্ধিমান বালক। তিনি ছিলেন সর্বক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণ ও চৌকশ । তার নাম খলিল। পিতার নাম আহমাদ আমর । দাদার নাম তামিম আল ফারাহিদি। তিনি ওমানের বিখ্যাত ইয়াহমাদি বংশের আজদি শাখাগোত্রের মানুষ। ১০০ হিজরি সনে ওমানেই তার জন্ম হয়েছিল। অনেকেই আবার বলেন, তার জন্ম হয়েছিল বসরায় । বসরা ইরাকের বিখ্যাত একটি শহর।কথিত আছে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর খলিলের বাবার নামিই সর্বপ্রথম আহমাদ রাখা হয়েছিল। বালক বয়সেই খলিল বসরায় চলে আসেন। সে সময় বসরা ছিল ইলমে নাহুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত। আচ্ছা, তোমরা কি জানো ইলমে নাহু কী? ইলমে নাহু এমন একটি বিজ্ঞান, যাতে আরবি বাক্যে ব্যবহৃত শব্দের শেষ বর্ণে হরকত কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

লাইস ইবনে সাদ-৪র্থ
দক্ষিণ মিশরের ছোট্ট একটি গ্রাম। গ্রামটির নাম কালকাশান্দা । এর অবস্থান কায়রো থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। এ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৯৪ হিজরিতে জন্ম হয় লাইস ইবনে সাদের। তার পরিবার ছিল অত্যন্ত সচ্ছল। চারপাশে ফসলের মাঠ। অপরূপ সৌন্দর্য়ে ভরা প্রকৃতি । নির্মল বাতাস বয়ে চলে সর্বক্ষণ। সর্বত্র। এটিই লাইস ইবনে সাদের গ্রাম। এ গ্রামেই তিনি বেড়ে ওঠেন।
আব্বাস ইবনে ফিরনাস -৫ম
অনেক দিন আগের কথা। এক ছিলেন ছোট্ট বালক। তাঁর চোখ দুটি ছিল উজ্জ্বল চকচকে । ছেলেটির নাম আব্বাস । বাবার নাম ফিরনাস। বাবার নামে সাথে মিলিয়ে মানুষ তাকে ডাকত আব্বাস ইবনে ফিরনাস নামে । আব্বাস ইবনে ফিরনাসের জন্ম হয়েছিল ১৮০ হিজরিতে। তখন ছিল খলিফা হিকাম ইবনে হিশামের শাসনামল। ছোট্টবেলা থেকেই আকাশ আর পাখিদের প্রতি ছিলে তার এক অনন্য টান। তিনি একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন । ডানা মেলে পাখিদের উড়ে চলা নিবিড়ভাবে পর্য়বেক্ষণ করতেন । আর রাতে বেলা তারাদের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতেন। মনে মেন ভাবতেন, কত সুন্দর করে পাখিরা উড়ে যায় দূর নীলিমায়। আমিও যদি উড়তে পারতাম পাখিদের মতো! যেতে পারতাম দূর আকাশের ওই তারাদের দেশে!

ইজ্জ ইবনে আবদুস সালাম -৬ষ্ঠ
সিরিয়ার রাজধানী দামেশক। আর দামেশক হলো ইতিহাস বিখ্যাত উমাইয়া মসজিদের শহর । এ শহরে বাস করত এক দরিদ্র পরিবার। অভাব- অনটন ও দুঃখ-কষ্ট সারাক্ষণ তাদের ঘরে লেগেই থাকত। ৫৭৭ হিজরি এ বাড়িতেই জন্ম হয় এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের । নাম রাখা হয় আবদুল আজিজ। তার বাবার নাম ছিল আবদুস সালাম। দাদার নাম কাসেম আদ-দিমাশকি। তবে মানুষের কাছে তিনি মুহাম্মাদ ইজ্জুদ্দিন আল মাগরিবি নামেই বেশি পরিচিত।”

Reviews

There are no reviews yet.

Only logged in customers who have purchased this product may leave a review.

Shopping Cart