কেউ কেউ এটা বিশ্বাসই করতে পারেন না যে, রংধনু সন্ত্রাসের সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে।
এটা আসলে কী? এটা কি নিছক কোনো শব্দ বা পরিভাষা? নাকি শব্দের আড়ালে এক ভয়ংকর সন্ত্রাসবাদের উপাখ্যান?
যারা কেবল মনে করছেন, ট্রান্সজেন্ডার মানে হলো, স্বাভাবিক লৈঙ্গিক ভিন্নতা কিংবা হাস্যকর কোনো চিত্র। তারা কখনো কল্পনাও করতে পারবেন না, ভিন্ন ব্যানারে মাঠে নামা এই রংধনু সন্ত্রাসের শেকড় কতটা গভীরে! যৌন বিকৃতির এ কালো অধ্যায় কতটা ভয়ানক! বৈশ্বিক পুঁজিবাদী মোড়লরা বিশ্বজুড়ে কী এক মানবসভ্যতা-বিধ্বংসী যুদ্ধের অবতারণা করেছে, আত্মস্বার্থ জিইয়ে রাখতে! কী লাভ লুকিয়ে থাকতে পারে এমন বিকৃতিকে বৈশ্বিক এজেন্ডা হিসেবে নেওয়ার মধ্যে!
বিকৃত ও বাস্তবতা বিবর্জিত চর্চাকে গবেষণার নামে, অপবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের নামে, প্রতিষ্ঠিত করে একদল অভিশপ্ত যে-যুদ্ধের প্রারম্ভিক রসদ জুগিয়ে গেছে—তার আদ্যোপান্ত জানতে পড়তে হবে এই বইটি। কারণ—ঈমানের বিপরীতে কুফরের, আল্লাহর সহজাত সৃষ্টির বিপরীতে শয়তানের বিকৃত উল্লাসের, দ্বীন-ঈমান-মানবসভ্যতা রক্ষার বিপরীতে শয়তানের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার এ-যুদ্ধে, আমাদের প্রথম করণীয় হলো এ-সম্পর্কে জানা এবং অন্যকে জানানো।