জীবনচলার বাঁকে বাঁকে আমরা প্রায়শ নানা ঘটনা বা সমস্যার সম্মুখীন হই। আমাদের বিরুদ্ধে কখনো কেউ কোনো ক্ষতি করতে চাইলে আমরা তার প্রতিকূলে দাঁড়িয়ে যাই, সোচ্চার হই। তাকে প্রতিহত করতে যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাই, প্রয়োজনে উঠেপড়ে লাগি। কখনো-বা তর্ক করি; ঝগড়া বা তর্জনী তুলতেও কুণ্ঠাহীন থাকি। সেই বিতর্ক বা প্রতিবিরোধ একপর্যায়ে মারামারি-হানাহানি, এমনকি যুদ্ধেরও রূপ-পরিগ্রহ করে। নিজের অবস্থানটি দৃঢ় রাখতে, সহজ কথায়, নিজেরই একান্ত স্বার্থটি হাসিলের উদ্দেশ্যে সরেজমিন ঝাঁপিয়ে পড়ি; এসব তো মূলত দৃশ্যগোচর এই পৃথিবীর নানা ঘটনা বা রোজনামচার কথা।
কিন্তু আমাদের অগোচরে, অদৃশ্যে, অন্তরালে বা জনান্তিকে কেউ কেউ আমাদের এমনই ক্ষতি করে বসেন, যা আমরা টের পাই না। দেখা যায় না যা আমাদের চর্মচক্ষে। যে ক্ষতি বা খারাপির সীমা-পরিসীমা নেই, এমনই অপূরণীয় লোকসান তা। ওইসব দৃশ্যমান ক্ষতি, এইসব অদৃশ্যমান সর্বনাশের সামনে আদতে তেমন কিছুই না, যে-সবের জন্য আমরা সচরাচর যুদ্ধ করি।
বলতে পারেন, সেই অদৃশ্য সর্বনাশা ক্ষতি বা ক্ষতিকর জিনিসটি কি? কী তার পরিচয়? তার পরিচয় সম্পর্কে পবিত্র কুরআনের বাণী— وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ ۚ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
‘তোমরা অনুবর্তী হয়ো না শয়তানের পদাঙ্কের। নিশ্চয়ই সে তোমাদের সুস্পষ্ট শত্রু।’
শয়তানের শত্রুতা এবং তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সবিস্তারে তুলে ধরেছেন ড. খালি আবু শাদি ‘শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বইয়ের পাতায় পাতায়…
Reviews
There are no reviews yet.