২০২০ বইমেলার অন্যতম সাড়া জাগানো বই ‘শিকড়ের সন্ধানে।’ কি আছে এই বইতে? চলুন জেনে নেই লেখিকার ভাষায়–
“একটা ভাষা কিছুই না বুঝে তিলাওয়াত করছি ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই অযৌক্তিক লাগত। কিন্তু যতবার অর্থসহ পড়তে গেছি, প্রতিবারই একদম শুরুতে গিয়েই আটকে গেছি। সূরা বাক্বারার পুরোটা জুড়ে মুসা আলাইহিস সালামের কাহিনী বলা হচ্ছে, কোথা থেকে শুরু হয়েছে, কীসের পরে কী হলো কিছুই বুঝতাম না। তাই উৎসাহ ধরে রাখতে পারতাম না। তখন যেটা আমি বুঝি নি তা হল কুরআনের বর্ণনা পদ্ধতিটা আসলে কথোপকথনের ভঙ্গীর মতো। এটা কোনো ইতিহাস গ্রন্থ নয়, তাই কাহিনীগুলো ধারাবাহিকভাবে বলা হয় নি। অন্য কোনো উৎস থেকে কাহিনীগুলোর ক্রম না জানলে অনুবাদ পড়তে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা প্রবল, যেটা আমার হত।
এই বইয়ে আমরা সেই কাজটাই করেছি। কুরআনে বর্ণিত বনী ইসরাইলের কাহিনী ধারাবাহিকভাবে জানার ও বোঝার চেষ্টা করেছি যেন স্পষ্ট হয়ে যায় যে কিভাবে আমরা এক উম্মাহ থেকে ইহুদি, খ্রিস্টান এবং মুসলিম- এই তিনটা ভাগে ভাগ হয়ে গেলাম।
এই বইটা তাই ‘শিকড়ের সন্ধানে’ লিপ্ত হওয়ার একটা বিনম্র প্রচেষ্টা; আমরা কেন মুসলিম, ইহুদি বা খ্রিস্টানদের সাথে আমাদের বিশ্বাস ও আচারের পার্থক্যটা কোথায়, সেটা আবিষ্কারের একটা যাত্রা। ইনশাল্লাহ এই বই পড়ার পর আমরা তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে বেঁচে যাবো, কিয়ামতের দিন যাদের ব্যাপারে অভিযোগ করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেন- হে আমার পালনকর্তা, আমার সম্প্রদায় এই কোরআনকে পরিত্যাগ করেছে।” (সূরা ফুরক্বান,২৫ঃ৩০)