খাদিজা বেরিয়ে এলেন পণ্যশালা থেকে। বাইরের পোশাক পরলেন। ছুটে গেলেন সেই ওয়ারাকার কাছে আবার! গিয়ে সব বললেন তাঁকে, যা যা শুনে এসেছেন একটু আগে মায়সারার মুখে! ওয়ারাকা ঝলমল করে উঠলেন! ওয়ারাকার কণ্ঠটা চিৎকার করে উঠলো :
-খাদিজা! খাদিজা! বলেছিলাম না—মুহাম্মদ সাধারণ কেউ নয়!
খাদিজা বললেন :
-তাহলে কি তিনিই ভবিষ্যতের নবী?!
-আমার তো তা-ই বিশ্বাস! আসমানি কিতাব পড়ে যতোটুকু জেনেছি ও বুঝেছি, তাতে মনে হচ্ছে মুহাম্মদই শেষনবী! এ উম্মতের নবী! তাঁকেই আল্লাহ সবার উপরে ওঠাবেন! মহাসম্মানে ভূষিত করবেন!! আর এ মুহাম্মদই তোমার সেই স্বপ্নসূর্য! এবং তোমার ভবিষ্যৎ স্বামী!!
খাদিজা ফিরে এলেন গৃহে। সাথে নিয়ে এলেন দৃপ্ত অঙ্গীকার ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
নবুওতের সূর্যকে বরণ করে নিতে এখন তিনি পূর্ণ প্রস্তুত!
আল-আমীনকে ‘হাতছাড়া’ করা যায় না, কিছুতেই না!
আল-আমীন রত্ন! কিন্তু এই রত্ন না, সেই রত্ন—আকাশের রত্ন! সবচেয়ে দামি রত্ন! আমার স্বপ্নসূর্য! আমার ভবিষ্যতের নবী! আমার ভাবী স্বামী!
আল্লাহু আকবার!