বাইতুল্লাহর মুসাফির

320

লেখক : মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ
প্রকাশনী : দারুল কলম

মূলত হজের সফরনামা হলেও কত ধরনের কত শিক্ষা যে রয়েছে!

ইখলাস, লিল্লাহিয়্যাত, রূহানিয়্যাত হলো এ বইয়ের প্রাণ! পাশাপাশি আদাবে মুআশারা-মুআমালা ও আদাবে ইনসানিয়াতেরও অপূর্ব সমাহার ঘটেছে এতে। তাহযীবুল আখলাক ওয়াল আফকার ওয়াল লিসান (ভাষা, চিন্তা ও আচরণের সংশোধন)-এর জন্যও অত্যন্ত উপকারী এ বই আদাবুল ইলম ও আদাবুল মুতাআল্লিমীন বিষয়েও যথেষ্ট খোরাক রয়েছে।
.
হজ পালন তো সহজ। কিন্তু আল্লাহর দরবারে কবুল হওয়া? আগে তো মানুষ হজ করতো ‘হাজী’ উপাধি গ্রহণের জন্য। এখন হজ করে সেলফি তোলার জন্য। হজের সময় কলবের কাইফিয়্যাত কেমন হওয়া উচিত তা তো মানুষ জানেই না, হবে কিভাবে! আমার প্রবল ধারণা, হজ কবুল হওয়ার জন্য হৃদয়ের অবস্থা তেমন হওয়া জরুরি, যেমনটা আদীব হুযুর এ বইয়ে উল্লেখ করেছেন। কেননা খুশু-খুযু ও রূহানিয়্যাতই হলো প্রতিটি ইবাদতের প্রাণ।
.
আদীব হুযুর কত উঁচু স্তরের বুযুর্গ, তা এ বই পড়লেই স্পষ্ট হয়।
হজের সময় তাঁর অন্তরের হালত যেমন ছিল, তিনি ঠিক তেমন বর্ণনা দিয়েছেন। বরং অনেক ক্ষেত্রে কলমের সংযমও করেছেন।
তাছাড়া পুরো বইই ইলহামের মতো, যা তাঁর ভূমিকা পড়ে বোঝা যায়।
.
আমার মতে, প্রত্যেকের জন্য এ বই পাঠ করা আবশ্যক। যাদের এখনো হজের সৌভাগ্য হয়নি, তাদের জন্য উত্তম সান্ত্বনা এ বই। তাদের মনে বাইতুল্লাহর মুসাফির হওয়ার আকাঙ্ক্ষা তীব্র করে ‍তুলবে এ বই। আর আকাঙ্ক্ষা ও ব্যাকুলতা তীব্র হলেই তো উপর থেকে ডাক আসে। বাইতুল্লাহর মুসাফির হওয়ার সৌভাগ্য যাদের হয়, তাদের জন্য সফরে যাওয়ার আগে একবার হলেও এ বই পাঠ করা উচিত। হজ পালনের সময় অন্তরের কাইফিয়্যাত কেমন হতে হবে, তা জানার জন্য। কেবল হজযাত্রীদের জন্যই নয়, বাইতুল্লাহর প্রেমিক সকল মুসলিমদের জন্য এতে রয়েছে আত্মার খোরক।

You may also like…

Shopping Cart