মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদর্শ ও সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শিষ্টাচারের গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তম চরিত্র, ভালো ব্যবহার ও সুসভ্য জাতি গঠনের সর্বোত্তম উপায় ও উপকরণ রয়েছে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে নববিতে। আহার-পানীয় গ্রহণে, অন্যের সঙ্গে কুশল বিনিময়ে, সালাম আদান-প্রদানে, অনুমতি গ্রহণে, উঠা-বসা, কথা বলা, দুআ-মুনাজাত, আনন্দ ও শোক প্রকাশ প্রভৃতি ক্ষেত্রে মুমিনের আচরণ কিরূপ হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামে। কোনো মুসলিম কাঙ্ক্ষিত মানের ও সুসভ্য মানুষরূপে গড়ে উঠবে এবং নিজেকে অন্যান্য জাতি অপেক্ষা ভিন্ন বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করতে সক্ষম হবে তখনই, যখন ইসলামি শিষ্টাচারের সুষমাকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও পার্থিব জীবনের সকল দিক ও বিভাগে ফুটিয়ে তুলতে পারবে। তাই মানব জীবনে শিষ্টাচার অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আদব-আখলাক এবং আচার-আচরণের ও দৈনন্দিন জীবনের ব্যাপারে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিক-নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আজ আমরা নববি আদর্শ ও তাঁর দিক-নির্দেশনা ভুলে গিয়েছি। ফলে আমরা এবং আমাদের প্রজন্ম নববি পথ থেকে ছিটকে পড়ে পশ্চিমাদের আচরণে নিমজ্জিত হচ্ছি। তাই তো আমাদের জীবন হয়ে যাচ্ছে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও অভিশপ্ত।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আদব-আখলাক, আচরণ ও বিবিধ বিষয় নিয়ে ইমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহু রচনা করেছেন—“আল-আদাবুল মুফরাদ” নামক একটি বিখ্যাত হাদিসের গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে আদব-আখলাক সংক্রান্ত ১৩৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস স্থান পেয়েছে। হাদিসগুলোর তাহকিক করেছেন প্রসিদ্ধ দুইজন মুহাক্কিক আলেম। কালজয়ী এই গ্রন্থটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাভাষীদের জন্য আমাদের এই আয়োজন।
Reviews
There are no reviews yet.